আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আনুষ্ঠানিকভাবেই সৌদির নারীদের ওপর থেকে গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এবার স্বাধীনভাবেই রাস্তায় গাড়ি চালানো উপভোগ করলেন নারীরা। গত সেপ্টেম্বরেই নারীদের ওপর থেকে গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এরপর চলতি মাসের শুরুতেই নারীদের প্রথমবারের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া শুরু হয়।

সৌদিই একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হতো না। এমনকি পরিবারের পুরুষরা নারীদের যাতায়াতের জন্য ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি চালক নিয়োগ করতেন। পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া নারীরা কোথাও স্বাধীনভাবে চলাফেরারও অনুমতি পান না।

তবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে নারীদের এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য যারা লড়াই করছেন এমন বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করেছে সৌদি। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, কমপক্ষে নয়জন নারী অধিকার কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে দীর্ঘদিন তাদের সাজাও ভোগ করতে হতে পারে।

নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু অধিকারকর্মী। সৌদি কর্তৃপক্ষ নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু অধিকার কর্মীকে আটক করায় এ নিয়ে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।

নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ায় বেশ পরিচিত লৌজেইন আল হাথলোল। তাকেও আটক করা হয়েছে। বহু বছর ধরেই নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বহু মানবাধিকার সংগঠন।

১৯৯০ সালে রিয়াদে গাড়ি চালানোর অপরাধে বহু নারীকে আটক করা হয়। ২০০৮, ২০১১ এবং ২০১৪ সালে বহু নারী গাড়ি চালানোর বেশ কিছু ভিডিও প্রচার করা শুরু করেন। গাড়ি চালাতে পারার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এক সৌদি নারী জানান, এটা সৌদির প্রতিটি নারীর জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

তবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হলেও নারীরা তাদের পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোথাও ভ্রমণ করতে পারবে না এমনি বিয়ে বা বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতিও পাবেন না।